১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এক বড় অংশ হিন্দু পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এলেও, কিছু মানুষ ভিটে আঁকড়ে থেকে যান, তাদের মধ্যে একজন টুনুর বাবা। পেশায় ডাক্তার মানুষটি নিজের ছেলে মুসলমানের হাতে খুন হলেও কিছুতেই মানুষের ওপর বিশ্বাস হারাননি,থেকে গেছেন ময়মনসিংহে মাটি আঁকড়ে। কিন্তু থেকে গেলেও তাঁর পরিবারের কেউ বৃহত্তর সমাজের সঙ্গে একাত্ম বোধ করল কই? ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ –কোনটাতেই তারা অংশ নিল না। টুনুর ডাক্তার স্বামীও এই দেশটিকে নিজের দেশ বলে ভাবে না, যেকোন সুযোগে ইন্ডিয়ায় পালাতে চায়। আর এইসবের মধ্যে টুনু কী ভাবে? কোনটা তার নিজের দেশ? মুক্তিযুদ্ধ তাদের জন্যে আদৌ কি মুক্তি নিয়ে এল? সারা পৃথিবীর সেইসব মানুষদের কথায় বোনা এই আখ্যান যাদের আদৌ কোন দেশ নেই।
Others