প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে শাক্যবংশের রাজপুত্র কুমার সিদ্ধার্থ নিখিল জীবের দুঃখনিবৃত্তির উপায় খুঁজতেই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়েছিলেন, ধ্যানবলে ‘মার’কে জয় করে ‘বুদ্ধ’ হয়েছিলেন। যা মানুষকে পরম সত্য জানতে দেয় না, জীবনের সঙ্গে সতত জড়িয়ে রাখে, অন্তিমে দুঃখ দেয়, বৌদ্ধশাস্ত্রে তাকেই ‘মার’ বলা হয়। এই উপন্যাসে চিরাচরিত বুদ্ধকাহিনিকে অবিকল অনুসরণ করা হয়নি। বরং মার-এর দিক থেকে সিদ্ধার্থের জীবনকে দেখা হয়েছে। মার এখানে কথা বলছে সিদ্ধার্থের সঙ্গে, তাকে তপোনিমগ্ন হতে বারবার নিষেধ করছে। কথা বলছে রাজগৃহ নগরী, নৈরঞ্জনা নদী, সুজাতা এবং অন্যান্যরা। সিদ্ধার্থ নিজেও কথা বলছেন কখনও। মহামহিম বুদ্ধ নন, সংগ্রামমুখর সিদ্ধার্থই এ আখ্যায়িকার কেন্দ্রে, যাঁর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে লেখকের কল্পনা—তিনজন্মব্যাপী এক আশ্চর্য পরিভ্রমণ। পরিশেষে কে প্রকৃতই জয়ী হলেন—সিদ্ধার্থ, নাকি মার? উপন্যাসটির অন্তিমে লেখক সেই নিগূঢ় প্রশ্ন তুলেছেন।
Sanmatrananda