Hardcover, Prashanta Kumar Pal, Rabindranath's Biography
রবিজীবনী নবম খণ্ড প্রকাশিত হল। এই খণ্ডের পরিধি ১৩৩০-৩২ বঙ্গাব্দ [1923-26]। এই পর্বটি তাঁর জীবনে যেন বিশ্বপথিকবৃত্তির পর্ব। দেশের মধ্যে বিশ্বভারতীর জন্য অর্থসংগ্রহের অভিযানে তিনি বিভিন্ন স্থানে যেমন পরিভ্রমণ করেছেন, তেমনি গেছেন চিনে ও জাপানে, দক্ষিণ আমেরিকায় পেরুর স্বাধীনতার শতবার্ষিকীতে রওনা হয়ে অসুস্থতার জন্য কয়েকটি মাস কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনায় ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো নামক এক বিদগ্ধা সুন্দরী লাতিন যুবতীর মান অভিমানের নাটকীয় সম্পর্কের অভিজ্ঞতার মধ্যে। সেখান থেকে এসেছেন ইতালির আহ্বানে সাড়া দিতে, যা অসমাপ্ত থেকে গেল অসুস্থতার বাধ্যবাধকতায়। ‘পুনরাগমনায় চ’ আহ্বানও ছিল, বারংবার চেষ্টাও করেছেন প্রতিশ্রুতি পালনের— কিন্তু প্রতিবারই শরীর প্রতিবন্ধকতা করেছে। বোঝা যায়, অতিরিক্ত ব্যবহারে শরীরের শক্তি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, কিন্তু তাকে মানতে চাননি— বসে থাকা মানে যেন মরে থাকা, তাই চরৈবেতি মন্ত্রে নিজেকে উজ্জীবিত করে তুলতে চেয়েছেন বারবার; এই খণ্ডের শেষে পাঠক দেখবেন, পূর্ববঙ্গ সফরে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ যেন যৌবন ফিরে পেয়েছেন, দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছেন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন যুগের কর্মযজ্ঞের সাধনায়, যে সাধনা তিনি নিজেই করছিলেন শ্রীনিকেতনের পল্লিপুনর্গঠন কেন্দ্রের বিবিধ কর্মতৎপরতায়। দেশের পরিস্থিতি তাঁর সাধনার অনুকূল ছিল না। গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনে ও চিত্তরঞ্জন-মোতিলাল নেহরুর রাজনীতিতে ফুটে উঠছিল না-বাচক বিশেষত্বসমূহ, যেগুলি রবীন্দ্রনাথের মতে সম্পূর্ণভাবে দেশগঠনের প্রতিবন্ধক। তারই মধ্যে লিখেছেন ‘রক্তকরবী’ ‘রথযাত্রা’র মতো নাটক, যাদের মধ্যে রূপ নিচ্ছিল সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় আদর্শের অভ্যুদয় ও পরিণতির ইঙ্গিত। সব মিলিয়ে এখানে পাওয়া যাবে এক দ্বন্দ্বমুখর জটিল জীবনপ্রবাহের কেন্দ্রবর্তী রবীন্দ্রনাথকে।
Prashanta Kumar Pal
প্রশান্তকুমার পাল-এর জন্ম ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪৫ (১৮ মে, ১৯৩৮ খ্রীস্টাব্দ) কলকাতায়। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কলকাতারই স্কুলে-কলেজে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজ। সেখান থেকে ১৯৫৮ সালে বাংলায় অনার্স নিয়ে বি-এ পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এম এ পাশ করেছেন ১৯৬০ সালে। ১৯৬১ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনার কাজ পান কলকাতার আনন্দমোহন কলেজে। অধ্যাপনা করতে-করতেই রবীন্দ্রজীবনের বিবর্তনের সঙ্গে মিলিয়ে ধারাবাহিকভাবে রবীন্দ্ররচনা পড়তে গিয়ে অনুভব করেন যে, রবীন্দ্রজীবনীর এক বিশাল অংশ তমসাবৃত অবস্থায় রয়েছে। উৎসাহী হয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৭২ থেকে সেই নতুনতর গবেষণার সূত্রপাত। ১৯৮২তে ‘রবিজীবনী’-র প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। প্রকাশমাত্রই এ-গ্রন্থ সর্বস্তরে তোলে আলোড়ন। ১৯৮৪তে বেরোয় ‘রবিজীবনী’-র দ্বিতীয় খণ্ড। একইভাবে সমাদৃত এই নতুন খণ্ডও। প্রথম দুটি খণ্ডেরই প্রকাশক-ভূর্জপত্র। ১৯৮৫ সালে ‘রবিজীবনী’-র জন্য দুটি বিশিষ্ট পুরস্কার পান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহদাস পুরস্কার ও সুরেশচন্দ্র-স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার। রবীন্দ্রজীবন নিয়ে গবেষণার কাজেই পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করতে উদ্যোগী প্রশান্তকুমার ১৯৮৫ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠী প্রবর্তিত বিশ্বভারতীতে অশোককুমার সরকার স্মৃতি বৃত্তির প্রথম প্রাপক রূপে শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে গবেষণায় রত।
Prashanta Kumar Pal
Language: Bengali
Binding: Hardcover
ISBN: 9788177563443
Pages: 358
Genre: Autobiography & Biography
Publishers: Ananda Publishers
প্রশান্তকুমার পাল-এর জন্ম ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪৫ (১৮ মে, ১৯৩৮ খ্রীস্টাব্দ) কলকাতায়। শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কলকাতারই স্কুলে-কলেজে। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজ। সেখান থেকে ১৯৫৮ সালে বাংলায় অনার্স নিয়ে বি-এ পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এম এ পাশ করেছেন ১৯৬০ সালে। ১৯৬১ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপনার কাজ পান কলকাতার আনন্দমোহন কলেজে। অধ্যাপনা করতে-করতেই রবীন্দ্রজীবনের বিবর্তনের সঙ্গে মিলিয়ে ধারাবাহিকভাবে রবীন্দ্ররচনা পড়তে গিয়ে অনুভব করেন যে, রবীন্দ্রজীবনীর এক বিশাল অংশ তমসাবৃত অবস্থায় রয়েছে। উৎসাহী হয়ে শুরু করেন গবেষণা। ১৯৭২ থেকে সেই নতুনতর গবেষণার সূত্রপাত। ১৯৮২তে ‘রবিজীবনী’-র প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। প্রকাশমাত্রই এ-গ্রন্থ সর্বস্তরে তোলে আলোড়ন। ১৯৮৪তে বেরোয় ‘রবিজীবনী’-র দ্বিতীয় খণ্ড। একইভাবে সমাদৃত এই নতুন খণ্ডও। প্রথম দুটি খণ্ডেরই প্রকাশক-ভূর্জপত্র। ১৯৮৫ সালে ‘রবিজীবনী’-র জন্য দুটি বিশিষ্ট পুরস্কার পান। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহদাস পুরস্কার ও সুরেশচন্দ্র-স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার। রবীন্দ্রজীবন নিয়ে গবেষণার কাজেই পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করতে উদ্যোগী প্রশান্তকুমার ১৯৮৫ সাল থেকে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠী প্রবর্তিত বিশ্বভারতীতে অশোককুমার সরকার স্মৃতি বৃত্তির প্রথম প্রাপক রূপে শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রভবনে গবেষণায় রত।