Hardcover, Asit Pal, Essay, Society, Culture & Folk Culture
একটা সময় বাঙালির ঘরে ঘরে পাওয়া যেত বছরে একটা করে পঞ্জিকা বা পাজি, যার নির্দেশে পরিবারের ওঠা-বসা। পঞ্জিকার গুরুত্ব ও বিশ্বাসে কোনও খামতি থাকত না পরিবারে। মৃত্যুর তারিখ ছাড়া পঞ্জিকা যেন সবই বলতে পারত, অন্তত গণৎকার পণ্ডিতরা তাই বোঝাতেন। এই পঞ্জিকা যখন বাঙালির এতটা ভরসাস্থল হিসেবে বিবেচিত হতে থাকল, তখন পঞ্জিকা প্রকাশকরাও ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকলেন। বাজারে প্রতিযোগিতা লেগে গেল পঞ্জিকাকে আরও বেশি আকর্ষক করে তোলা ও আরও প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবেশন করার। এইভাবে পঞ্জিকার সঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ ডাইরেক্টরি জুড়ে দেওয়া শুরু হল। বটতলার ব্যবসায়ীরাও ঝুঁকে পড়লেন তাঁদের ব্যাবসার ফিরিস্তি শোনাতে পঞ্জিকার পাতায়। পাঠকরা ওইসব বিজ্ঞাপন দেখে জিনিস কিনত, কেননা পঞ্জিকার প্রতি তাদের অসীম বিশ্বাস। ব্যবসায়ীরাও পাঠককে মোহিত করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে দ্বিধা করতেন না। বিজ্ঞাপনকে আকর্ষণীয় করতে ভাষার কারিকুরি ছাড়াও থাকত নয়ন ভোলানো ছবি। কাঠখোদাই মাধ্যমে শিল্পীরা অনেক ছবি করে দিয়েছেন। তাঁরা দিনপঞ্জীর সঙ্গেও বহু দেবদেবী সহ নানা উৎসবের ছবি করেছেন। এই পঞ্জিকাকে কেন্দ্র করে একটা শিল্পের ধারা গড়ে ওঠে যা সাধারণ মানুষের জন্যে করা, সাধারণ মানুষের ভাল লাগার জন্যে। আমরা একে ‘পপুলার আর্ট’ বলে আখ্যা দিয়ে থাকি। এই বইতে চেষ্টা করা হয়েছে বিজ্ঞাপন সহ বহু ছবিকে এক জায়গায় নিয়ে আসার, এখানে ১৮৪২ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত দিনপঞ্জীর ছবি রাখা হয়েছে, যতটুকু পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে। বিজ্ঞাপনের উল্লেখ আছে উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে প্রাক স্বাধীনতা পর্যন্ত।
Asit Pal
অসিত পাল-এর জন্ম ১৫ জুন, ১৯৫০। শৈশব কাটে কলেজ স্ট্রিট পাড়া সহ উত্তর কলকাতা ঘিরে। সরকারি আর্ট কলেজ থেকে শিক্ষা নিয়ে আনন্দবাজার সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবন কাটান। বটতলার শিল্প নিয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর সম্পাদিত উনিশ শতকের কলকাতার কাঠখোদাই তাঁকে সারা বিশ্বে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে। দ্বিতীয় বই ‘উনিশ শতকের কাঠখোদাই শিল্পী প্রিয়গোপাল দাস’ও এক উল্লেখযোগ্য গবেষণাধর্মী বই। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ললিত কলা অ্যাকাডেমির হয়ে দু’বছর ধরে এক উল্লেখযোগ্য কাজ শেষ করেছেন ২০১৫-তে। ভারতের শিল্প বিবর্তনের কেন্দ্রভূমি চিৎপুরের বহুবিধ শিল্পধারার তথ্য সন্ধান করে চিত্রসহ তথ্য এক জায়গায় এনেছেন ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্যে। লেখা ও চিত্রচর্চা একই সঙ্গে করতে ভালবাসেন। দেশে ও বিদেশে অনেক একক যৌথ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। শিল্পশিবিরে তাঁর উপস্থিতি যেমন থাকে, শিল্প নিয়ে বহু আলোচনার মুখ্য বক্তা হিসেবেও থাকেন। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর সহ সভাপতি হিসেবে, ললিত কলা অ্যাকাডেমির সর্বভারতীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উনিশ শতকের কাঠখোদাই ও লিথো ছবি নিয়ে প্রদর্শনী কিউরেট করেছেন দিল্লি ও কলকাতায়।
Publisher : Ananda Publishers
Author : Asit Pal
Language : Bengali
Binding : Hardcover
Pages : 598
ISBN : 9789350409626
অসিত পাল-এর জন্ম ১৫ জুন, ১৯৫০। শৈশব কাটে কলেজ স্ট্রিট পাড়া সহ উত্তর কলকাতা ঘিরে। সরকারি আর্ট কলেজ থেকে শিক্ষা নিয়ে আনন্দবাজার সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবন কাটান। বটতলার শিল্প নিয়ে দীর্ঘ সময় যাবৎ গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর সম্পাদিত উনিশ শতকের কলকাতার কাঠখোদাই তাঁকে সারা বিশ্বে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে। দ্বিতীয় বই ‘উনিশ শতকের কাঠখোদাই শিল্পী প্রিয়গোপাল দাস’ও এক উল্লেখযোগ্য গবেষণাধর্মী বই। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ললিত কলা অ্যাকাডেমির হয়ে দু’বছর ধরে এক উল্লেখযোগ্য কাজ শেষ করেছেন ২০১৫-তে। ভারতের শিল্প বিবর্তনের কেন্দ্রভূমি চিৎপুরের বহুবিধ শিল্পধারার তথ্য সন্ধান করে চিত্রসহ তথ্য এক জায়গায় এনেছেন ভবিষ্যতের গবেষকদের জন্যে। লেখা ও চিত্রচর্চা একই সঙ্গে করতে ভালবাসেন। দেশে ও বিদেশে অনেক একক যৌথ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। শিল্পশিবিরে তাঁর উপস্থিতি যেমন থাকে, শিল্প নিয়ে বহু আলোচনার মুখ্য বক্তা হিসেবেও থাকেন। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এর সহ সভাপতি হিসেবে, ললিত কলা অ্যাকাডেমির সর্বভারতীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উনিশ শতকের কাঠখোদাই ও লিথো ছবি নিয়ে প্রদর্শনী কিউরেট করেছেন দিল্লি ও কলকাতায়।