জমিদার কৃষ্ণকিশোর মুখার্জী প্রতিষ্ঠিত মাধবপুর গ্রাম।ইছামতীর তীরে হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে বহুযুগ থেকে তার মর্যাদা রক্ষা করে চলেছে মাধবপুর। কৃষ্ণকিশোরের দেখানো পথেই তাঁর উত্তরপ্রজন্মের সকলেই সেই সম্প্রীতি রক্ষার্থে বদ্ধপরিকর।
কৃষ্ণকিশোরের উত্তরসুরি জয়ন্তনারায়ণের পুত্র নীলাদ্রিশেখর তার খেলার সাথী গ্রামের মুসলিম কন্যা শামীমার প্রেমে আবদ্ধ । শামীমা জয়ন্তনারায়ণের কর্মচারী আব্দুল শেখের পঞ্চম তথা একমাত্র কন্যাসন্তান । গ্রামীন স্কুলের পাঠ শেষ করেই পরিবারের ইচ্ছানুসারে শামীমার নিকাহ হয়ে যায় দূরবর্তী গ্রামের স্বধর্মী যুবকের সঙ্গে । কিন্তু ভাগ্যের ফেরে প্রাণ হাতে নিয়ে নিকাহের দিন কয়েকের মধ্যেই আব্বুর বাসায় ফিরে আসে কিশোরী শামীমা । গ্রামের যুবক আব্বাসউদ্দিনের কুদৃষ্টি , ময়ূরাক্ষীর আগমন, জমিদারের জাত্যাভিমান ও বহু ঘাতপ্রতিঘাতের দোলাচালে পরবর্তী পর্যায়ে বিখ্যাত বিলেত ফেরত ডাক্তার নীলাদ্রিশেখরের সুযোগ্য সহধর্মিনী রূপে শামীমার আত্মপ্রকাশ ও মানবসৃষ্ট মন্দির, মসজিদ, গির্জার পরিধির ঊর্ধে উঠে ঈশ্বর সৃষ্ট মানব তথা জীবসেবাতেই ধর্মের প্রকৃত রূপ প্রতিষ্ঠা করে নীলাদ্রি ও শামীমা কিভাবে সকলের কাছের মানুষ হয়ে ওঠে … সেই উপন্যাসের নামই ‘এই ভুবনে অন্য ভুবন’।
Others