দেশ বিভাগের পর দাঙ্গা নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় অনেক উপন্যাস লেখা হয়েছে। বাংলাতেও প্রচুর। কিন্তু এই ঝাড়খন্ডের পটভূমিকায় ১৯৬৪-৬৫র কালে প্রত্যন্ত পটমদা অঞ্চলে দাঙ্গার ছবিটা অনুল্লেখ হয়ে থেকে গেছে। তাকে একটা ফ্রেমে যতটা সম্ভব ধরার প্রয়াস অবশ্য প্রশংসনীয়। উপভোগ্য। ছবির পর ছবি। ইঁটখোলা, নীলকুঠি, মথুরাপুর জঙ্গল, আদিবাসীদের হাতিয়ার নিয়ে মিছিল, ভীত ইব্রাহিমরা ছোটো ছোটো নদীর চোরাবালি। গুজব। আলাপী আশঙ্কায় বাও বাতাস থেকে দূরে রাখা তবু হঠাৎ বাঘুৎ দেবতার গর্জন। তার সুর আরও চড়া করে দেয় হেজেকের আলোয় ছৌ- নাচ, নাচনী নাচ, জুয়ার আড্ডা আর ছাগলতুপা বুড়া-বুড়ি পাহাড়ে বুনো মোরগ ঘেরে মহুয়ার উল্লাস। ছবিগুলো কখনো দীঘির জলের দিকে কখনো টিলার উপর ভালোবাসার ডান দিকে ঝুঁকে তোলা। লেখকের হাত কখনো এতটাই শক্ত যেন মনে হবে ডানা। তার তোলা এই ছবি মনে হবে ক্ল্যাসিক্যাল স্থাপত্যের যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে – অবশ্যই ঈশ্বর পরিত্যক্ত পৃথিবীর। সব মিলিয়ে পটমদা তথা একটা অঞ্চল, তার হাসি কান্না, ভাষা ভঙ্গি দারিদ্র, বৈভব ডুংরি পলাশ আর টম্যাটো ফুল নিজস্ব রঙে স্বাদে কতটা ধরা পড়েছে – প্রিয় পাঠক বলতে পারেন।
Others