হায়, জীবন এত ছোট কেনে?/ এ ভুবনে?’ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবিস্মরণীয় পঙ্ক্তিই যেন বাস্তবিকতায় ফুটে উঠেছে নবীন কবি ও কথাকার আদিত্য মণ্ডল এর ‘বরফের গোলাপ’ উপন্যাসের পরতে পরতে৷ সত্যিই তো, আমাদের এই এক জীবনের ব্যাপ্তি আর কতখানি কতটুকুই–বা আমরা ধরে রাখতে পারি নিজের কাছে নিজের করে? তাছাডা নিজের বলতে সত্যি কী কিছু হয়? মহাবিশ্বের সর্বত্র আপেক্ষিকতার একচ্ছত্র আধিপত্য৷ এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র অভিজ্ঞান আর অনামিকার জীবনও তেমনই এক আপেক্ষিকতার মায়াজালে ঘষতে ঘষতে এসে পৌঁছোয় এমন এক উপকূলে যেখানে ‘মাথার ভিতর/ স্বপ্ণ নয় প্রেম নয় কোনো এক বোধ কাজ করে৷’ এবং অভিজ্ঞান, অনামিকারা পার্থিব প্রাচুর্য ছেডে, ফেলে আসা অমসৃণ, অমলিন, জাগ্রত পুরোনোর কাছে হাঁটু মুডে বসতে চায়৷