Novel , Short Stories Collection, Boimela 2024
১৯২৮-২৯ সাল। জাভা গমনের পথে বর্মা ছুঁয়ে যাওয়ার সময় বর্মাবাসী, বিশেষ করে রসিক ও উৎসাহী বাঙালিদের আশা পূরণে এক কবি সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। বেঙ্গল অ্যাকাডেমির আদর্শনিষ্ঠ হেডমাস্টার মোহিত মুখোপাধ্যায় এর আয়োজনে ত্রুটি রাখেননি। কবির ভাষণ শেষে ছাত্রদলের একে একে প্রণাম করার পালায় মুখচোরা সুদর্শন ছেলেটি আস্তে আস্তে এগিয়ে গেল গুরুদেবকে প্রণাম জানাতে৷ মোহিতবাবু বললেন— ‘এটি আমাদের স্কুলের খুদে কবি। এর জন্য ব্ল্যাকবোর্ডে খালি থাকবার উপায় নেই।' কবিগুরু স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকালেন। মৃদু হেসে বললেন— ‘এক আসরে দুজন কবি’। সেই বালকই আত্মপ্রকাশ করলেন বাংলা সাহিত্যে। তবে কবি হিসেবে নয়, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শরিক কথাশিল্পী হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় রূপে। তাঁর রচনাসংগ্রহের সম্ভার সেজে উঠেছে উপন্যাস ও ছোটোগল্পে। তাতে রয়েছে যেমন সামাজিকতার ছোঁয়া, তেমনই রহস্য-রোমাঞ্চ-ভৌতিক অনুষঙ্গে ভরপুর সেসব কথাসাহিত্য। হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের ফেলে যাওয়া সম্ভারই এবার দুই মলাটের মাঝে একাধিক খণ্ডে প্রকাশিত হল।
HARINARAYAN CHATTOPADHYAY
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৩ মার্চ ১৯১৬, কলকাতার ভবানীপুরে। জন্মের কয়েক বছর পরে চলে আসেন বার্মায়। সে দেশেই তাঁর শিক্ষা ও কর্মজীবনের সূচনা। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন কোর্টে আইনজীবীর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বার্মায় কাটে দীর্ঘ পঁচিশ বছর। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বার্মা থেকে ফিরে আসতে হয় কলকাতায় ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে।
HARINARAYAN-CHATTOPADHYAY
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৩ মার্চ ১৯১৬, কলকাতার ভবানীপুরে। জন্মের কয়েক বছর পরে চলে আসেন বার্মায়। সে দেশেই তাঁর শিক্ষা ও কর্মজীবনের সূচনা। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন কোর্টে আইনজীবীর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বার্মায় কাটে দীর্ঘ পঁচিশ বছর। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বার্মা থেকে ফিরে আসতে হয় কলকাতায় ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে।