সম্পাদনা : শ্রীতরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের প্রতিভাবান কবিদের মধ্যে একজন বিনয় মজুমদার।তার জন্ম ১৯৩৪ সালে জন্ম ব্রিটিশ শাসনাধীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের ব্রহ্মদেশ (বর্তমান নাম মিয়ান্মার)-এর অন্তর্গত মান্দালয় শহরের পার্শবর্তী তেডো গ্রামে। তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে বিপিনবিহারী মজুমদার এবং বিনোদিনী মজুমদার। বিপিনবিহারী ছিলেন একজন সিভিল এঞ্জিনিয়ার। স্বাধীনতালাভ ও ভারত-ভাগের পর বিপিনবিহারী তৎকালীন পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর নিকটবর্তী ঠাকুরনগরের শিমুলপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে বিনয়ের স্কুলের ম্যাগাজিনে তাঁর লেখা কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে কলকাতায় বিনয়কে ভর্তি করে দেওয়া হয় মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশনে। তারপর তার পড়াশোনা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শিবপুর বি. ই. কলেজে। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথম শ্রেণী পেয়ে মেকানিক্যাল এঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সঙ্গেই রুশ ভাষা থেকে পাঁচটি বই বাংলায় অনুবাদ করেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “নক্ষত্রের আলোয়" প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে। অবিস্মরণীয় কাব্যগ্রন্থ "ফিরে এসো, চাকা" রচনাকালে মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে তিনি দুরারোগ্য মানসিক ব্যাধি স্কিটোফ্রেনিয়া-য় আক্রান্ত হন। ২০০৫ সালে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) ও সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার (কেন্দ্রীয় সরকার) লাভ করেন। ২০০৬ সালে এই প্রতিভাবান কবির মৃত্যু হয়।
Binoy Majumdar