Hardcover, Harinarayan Chattopadhyay, Classic Romantic Upanyas
এই কাহিনি দুই ভাগ্যহত মানুষের। বোম্বে থেকে কলকাতা ফেরার পথে ভয়াবহ এক রেল দুর্ঘটনায় আহত হয় কল্যাণ। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক স্মৃতিভ্রষ্টা মেয়েকে উদ্ধার করে সে আশ্রয় দেয় নিজের কাছে। নিয়তির অদ্ভুত পরিহাসে মেয়েটি কল্যাণকেই তার স্বামী ভাবতে শুরু করে। কল্যাণ ভুল ভাঙানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। লোকলজ্জা এড়াতে সে সবার কাছে মেয়েটিকে স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। নাম বলে শুভ্রা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জানান এই স্মৃতি যেমন আচমকা চলে গেছিল, তেমনই ফিরে আসবে একদিন। এদিকে বিধাতা অলক্ষে অন্য এক জাল বুনছিলেন।
ওদের দু-জনের মধ্যে কি গড়ে উঠবে কোনো সম্পর্কের নিটোল বন্ধন? না কি, শুভ্রা ফিরে পাবে তার হারানো স্মৃতি? নিয়তির এই আশ্চর্য পাশাখেলার পরিণতি কী— সেই নিয়েই ‘স্মরগরল’ আলেখ্য।
মানবমনের বিচিত্র গহন নিয়ে নিপুণ কাহিনি লিখেছেন যাঁরা, হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় তাঁদের অগ্রগণ্য। ভৌতিক বা রোমাঞ্চ গল্পের জন্য তাঁর খ্যাতি হলেও সামাজিক উপন্যাসে তিনি বার-বার তাক লাগিয়ে দেন অসম্ভব গতিশীল ভাষা আর হৃদয়স্পর্শী বর্ণনায়। এই উপন্যাস আবেগে, ভালোবাসায়, স্নেহে, প্রেমে জড়ানো এক মন-কেমনিয়া যাত্রা।
‘স্মরগরল’ চরিত্রের অতলে তলিয়ে, সম্পর্কের বুনোটে বাঁধা এক অপূর্ব আখ্যান, যা বহুযুগ আগে লেখা হলেও আজকের পাঠককে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে রাখবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
HARINARAYAN CHATTOPADHYAY
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৩ মার্চ ১৯১৬, কলকাতার ভবানীপুরে। জন্মের কয়েক বছর পরে চলে আসেন বার্মায়। সে দেশেই তাঁর শিক্ষা ও কর্মজীবনের সূচনা। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন কোর্টে আইনজীবীর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বার্মায় কাটে দীর্ঘ পঁচিশ বছর। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বার্মা থেকে ফিরে আসতে হয় কলকাতায় ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে।
HARINARAYAN-CHATTOPADHYAY
হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ২৩ মার্চ ১৯১৬, কলকাতার ভবানীপুরে। জন্মের কয়েক বছর পরে চলে আসেন বার্মায়। সে দেশেই তাঁর শিক্ষা ও কর্মজীবনের সূচনা। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন কোর্টে আইনজীবীর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। বার্মায় কাটে দীর্ঘ পঁচিশ বছর। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বার্মা থেকে ফিরে আসতে হয় কলকাতায় ভবানীপুরের পৈতৃক বাড়িতে।