আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যে দময়ন্তী দত্তগুপ্তের আবির্ভাব হয়। এটি একটি ব্যতিক্রমী চরিত্র। গোয়েন্দা বলতে যা মনে হয়, ইনি ঠিক তা নন। দময়ন্তী প্রোফেশনাল ডিটেকটিভ নন, ইতিহাসের অধ্যাপিকা। ইনি বন্দুক-পিস্তল চালান না। ইতিহাস যেমন নানারকমের সংগৃহীত তথ্য থেকে অতীতকে পুনর্গঠন করে, তেমনই ইনি কোনো অপরাধমূলক ঘটনার নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে তার মূল রহস্যের দিকে তর্জনী নির্দেশ করেন। দময়ন্তী নিজে তাড়া করে অপরাধীকে ধরেন না, তাকে ধরা যাদের কর্তব্য, তারাই সে-কাজটি করে থাকেন। সেইজনো ইনি নিজেকে গোয়েন্দা না বলে রহস্য সন্ধানী বলতে পছন্দ করেন।
Manoj Sen
মনোজ সেন-এর জন্ম ১৯৪০, বেলেঘাটায়। পড়াশোনা শুরু স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে। সেখান থেকে স্কুল ফাইনাল পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট সায়েন্স। অতঃপর বি ই কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিই পাশ করে চাকরি জীবনের শুরু। প্রথম কাজ ভারী নির্মাণ সংস্থা হেড রাইটসনে, শেষ কাজ টার্নকী ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ায় ডিরেক্টর পদে। ১৯৯৭ থেকে অবসর জীবন, মাঝে মাঝে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি।
১৯৭২ সালে প্রথম সাহিত্য পত্রিকা “রোমাঞ্চ*-তে গল্প প্রকাশিত হয়। এরপর টানা কুড়ি বছর (১৯৭২-১৯৯২) “রোমাঞ্চ” পত্রিকায় রহস্য, অলৌকিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, রূপকথা ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় হাজার দেড়েক পাতা ছোটো ও বড়োদের উপযোগী কাহিনি লিখেছেন। ১৯৯২ সালে “রোমাঞ্চ” পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দশ বছর লেখা বন্ধ ছিল। ড অনিশ দেব আবার লেখা শুরু করান ২০০১ সালে। “রোমাঞ্চ” ছাড়া লিখেছেন “সাপ্তাহিক বর্তমান”, “পরমা” ইত্যাদি পত্রিকায়। মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র দময়ন্তী দত্ত গুপ্ত ও খুদে গোয়েন্দা সাগর রায় চৌধুরী-কে নিয়ে লিখেছেন অনেক কাহিনি।
সাহিত্যের অনুপ্রেরণা আগাথা ক্রিস্টি, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ঘোর নাস্তিক হলেও ইতিহাসের সন্ধানে পড়তে ভালোবাসেন ধর্ম সংক্রান্ত বই। এককালে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবলের মতো সব খেলাতেই ছিলেন পারদর্শী রসিক এই মানুষটি ভালোবাসেন ক্লাসিক গান, ভ্রমণ ও আড্ডা। তাঁর উল্লেখযোগ্য অধুনা-প্রকাশিত কিছু বই হল 'এবং কালরাত্রি', 'কালসন্ধ্যা', 'রহস্যসন্ধানী দময়ন্তী সিরিজ' প্রভৃতি।
Manoj-Sen
মনোজ সেন-এর জন্ম ১৯৪০, বেলেঘাটায়। পড়াশোনা শুরু স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলে। সেখান থেকে স্কুল ফাইনাল পাশ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে ইন্টারমিডিয়েট সায়েন্স। অতঃপর বি ই কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিই পাশ করে চাকরি জীবনের শুরু। প্রথম কাজ ভারী নির্মাণ সংস্থা হেড রাইটসনে, শেষ কাজ টার্নকী ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ায় ডিরেক্টর পদে। ১৯৯৭ থেকে অবসর জীবন, মাঝে মাঝে ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্সি।
১৯৭২ সালে প্রথম সাহিত্য পত্রিকা “রোমাঞ্চ*-তে গল্প প্রকাশিত হয়। এরপর টানা কুড়ি বছর (১৯৭২-১৯৯২) “রোমাঞ্চ” পত্রিকায় রহস্য, অলৌকিক, বিজ্ঞানভিত্তিক, রূপকথা ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় হাজার দেড়েক পাতা ছোটো ও বড়োদের উপযোগী কাহিনি লিখেছেন। ১৯৯২ সালে “রোমাঞ্চ” পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দশ বছর লেখা বন্ধ ছিল। ড অনিশ দেব আবার লেখা শুরু করান ২০০১ সালে। “রোমাঞ্চ” ছাড়া লিখেছেন “সাপ্তাহিক বর্তমান”, “পরমা” ইত্যাদি পত্রিকায়। মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র দময়ন্তী দত্ত গুপ্ত ও খুদে গোয়েন্দা সাগর রায় চৌধুরী-কে নিয়ে লিখেছেন অনেক কাহিনি।
সাহিত্যের অনুপ্রেরণা আগাথা ক্রিস্টি, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ঘোর নাস্তিক হলেও ইতিহাসের সন্ধানে পড়তে ভালোবাসেন ধর্ম সংক্রান্ত বই। এককালে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবলের মতো সব খেলাতেই ছিলেন পারদর্শী রসিক এই মানুষটি ভালোবাসেন ক্লাসিক গান, ভ্রমণ ও আড্ডা। তাঁর উল্লেখযোগ্য অধুনা-প্রকাশিত কিছু বই হল 'এবং কালরাত্রি', 'কালসন্ধ্যা', 'রহস্যসন্ধানী দময়ন্তী সিরিজ' প্রভৃতি।