বাংলার নকশাল আন্দোলনের অন্তিম লগ্নে পশ্চিমবাংলার মফঃস্বলে, মধ্যবিত্ত পরিবারে মধ্যমেধার কেদারের জন্ম হয়।
ছোট্টবেলায় প্রেমে আঘাত, বন্ধুর প্রেমে সাহায্য করতে অভিভাবক ছাড়াই সিউড়ি পাড়ি, দাদা-দিদির সঙ্গে আফ্রিকা ভ্রমণ, দেওঘরের মামার বাড়ির অদ্ভুত সব ঘটনা, বাবা-মায়ের অকাল প্রয়াণ, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা সত্ত্বেও প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি ছেড়ে কলকাতা পুলিশে চাকরি, এইসব ঘটনা স্বতঃ পরিবর্তনশীল, দ্বন্দ্বে ডুবে থাকা কেদারের জীবন দর্শনের বারবার বদল ঘটায়।
উন্নততর সমাজ তৈরি করার স্বপ্নে বিভোর ছেলেটি পুলিশে চাকরি করতে গিয়ে বারবার মানসিক দোটানোর সম্মুখীন হয়। সমাজের দ্রুত পরিবর্তনে অশান্ত মন, অপ্রতিরোধ্য সব অন্যায়ের নাগপাশের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তির খোঁজে চলতে থাকে কেদারের অভিযান। দীর্ঘদিনের চাকরিতে উঠে আসে বিভিন্ন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা।