Hardcover, Zahid Hussain, Mythological Fantasy Thriiler
যা চলে গেছে তা কি আর কখনও ফিরে আসে?
মোবাইল দোকানি বাপ্পার সামনে এক মনোবিকারগ্রস্ত পরপর তিনটি বেড়ালের ঘাড় মটমট করে ভেঙে দক্ষ শল্যবিদের মতো তাদের চোখগুলো উপড়ে নেয়। সেখান থেকে দুটো চোখ আলাদা করে নিজের চোখের ওপর রেখে বলতে থাকে, ‘বিড়াল চক্ষু’, ‘বিড়াল চক্ষু’, ‘বিড়াল চক্ষু’। সেদিনের মতো দৌড়ে পালিয়ে বাঁচে বাপ্পা। কিন্তু পরদিন বেড়ালের ড্যাবড্যাবে চোখদুটো এসে হাজির হয় বাপ্পাদের দোরগোড়ায়। তারপর...
কথিত আছে থানা শহর রণকেলীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা নদী কাপুতে নাকি একসময় নরবলি হত। নদীর তলদেশে এখনও মানুষের খুলি, কঙ্কাল পাওয়া যায়। পাওয়া যায় জং ধরা গিলোটিন। কাপুত নদীর ওপর সেতু বানানো হচ্ছে। এই ডামাডোলের মধ্যে পরপর ছয়জন বাচ্চার খণ্ডিত মৃতদেহ পাওয়া যায়। লাশগুলোর চোখের জায়গায় গোল চাকতির মতো গর্ত। চোখের বদলের নিকষ কালো আঁধার ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে…গর্জন পরিণত হয় ফিসফাসে, কাপুতের প্রাচীন দেবতারা নাকি ক্ষুব্ধ। হাজার নিষ্পাপ শিশুর রক্তেই কেবল মুক্তি পাওয়া যাবে, নচেৎ নয়! আসলেই কি তাই?
ডিবির সিনিয়র গোয়েন্দা সৈয়দ শাহ ফতেহ গিল। দাদা আদর করে ডাকতেন গিলগামেশ– উরুকরাজ গিলগামেশ, আক্কাদীয় ভাষার সেই পৌরাণিক চরিত্র, যার দুই-তৃতীয়াংশ দেবতা আর এক-তৃতীয়াংশ মানুষ। কিন্তু আমাদের গিলগামেশ কোনো রাজাও নয়, দেবতাও নয়। দাদা মারা যাওয়ার আগে তার জন্য একটা ডায়েরিতে অনেক কথার ফাঁকে গিলগামেশের জন্য একটা সতর্কবার্তা লিখে গেছেন– মনে রেখো গিলগামেশ, শিকারও একসময় শিকারিতে পরিণত হয় আর শিকারি শিকারে। রণকেলীতে কে শিকারিতে পরিণত হবে? আর কে-ই বা শিকার। ডিবির গোয়েন্দা সৈয়দ শাহ ফতেহ গিল কি পারবে শিকারিকে থামাতে? নাকি নির্ভুল লক্ষ্যভেদে শিকারি তীরবিদ্ধ করবে তার শিকারকে? গিলগামেশ মহাকাব্য বিশ্বের প্রাচীনতম উপাখ্যান। যে অমরত্বের সন্ধানে মানুষ নিরন্তর ছুটে চলা, তা কি কখনও পায় সে? নাকি মরণশীলতাই তার একমাত্র নিয়তি?
Zahid Hussain
জাহিদ হোসেনের জন্ম সিলেটে, বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। বাস করছেন জন্মভূমি সিলেটেই। বইপড়ার প্রতি অসম্ভব ঝোঁক থেকেই লেখালেখিতে আগ্রহ। শুরু অনুবাদ দিয়ে। পরপর দু’টি অনুবাদ প্রকাশিত হয় তার। ‘অ্যাম্বার রুম’ ও ‘ম্যাক্সিমাম রাইডঃ দ্য অ্যাঞ্জেল এক্সপেরিমেন্ট’। এরই মধ্যে জাহিদ হোসেন প্রবেশ করেন মৌলিক লেখালেখির জগতে। মৌলিক থ্রিলার হিসেবে তার প্রথম প্রয়াস ‘ঈশ্বরের মুখোশ’, যা ২০১৫’র একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে বের হয় ‘ফিনিক্স’, ‘কাদ্যুসেয়াস’, ‘একজোড়া চোখ খোঁজে আরেক জোড়া চোখকে’, ‘দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব’ ও ‘গিলগামেশ’। জাহিদ হোসেনের প্রকাশিত বই ওপার বাংলাতেও ব্যাপক সমাদৃত ও প্রশংসিত। কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স ও বুকিকার্ট থেকে কয়েকটি বইয়ের ভারতীয় সংস্করণ প্রকাশের পর বেশ সাড়াও পান। উপন্যাস ও নভেলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোটগল্প লিখেছেন জাহিদ হোসেন।
Zahid Hussain
জাহিদ হোসেনের জন্ম সিলেটে, বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। বাস করছেন জন্মভূমি সিলেটেই। বইপড়ার প্রতি অসম্ভব ঝোঁক থেকেই লেখালেখিতে আগ্রহ। শুরু অনুবাদ দিয়ে। পরপর দু’টি অনুবাদ প্রকাশিত হয় তার। ‘অ্যাম্বার রুম’ ও ‘ম্যাক্সিমাম রাইডঃ দ্য অ্যাঞ্জেল এক্সপেরিমেন্ট’। এরই মধ্যে জাহিদ হোসেন প্রবেশ করেন মৌলিক লেখালেখির জগতে। মৌলিক থ্রিলার হিসেবে তার প্রথম প্রয়াস ‘ঈশ্বরের মুখোশ’, যা ২০১৫’র একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে বের হয় ‘ফিনিক্স’, ‘কাদ্যুসেয়াস’, ‘একজোড়া চোখ খোঁজে আরেক জোড়া চোখকে’, ‘দুধ চা খেয়ে তোকে গুলি করে দেব’ ও ‘গিলগামেশ’। জাহিদ হোসেনের প্রকাশিত বই ওপার বাংলাতেও ব্যাপক সমাদৃত ও প্রশংসিত। কলকাতার অভিযান পাবলিশার্স ও বুকিকার্ট থেকে কয়েকটি বইয়ের ভারতীয় সংস্করণ প্রকাশের পর বেশ সাড়াও পান। উপন্যাস ও নভেলা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ছোটগল্প লিখেছেন জাহিদ হোসেন।