Hardcover, Various, A Collection of 50 Classic Horror/ Ghost Stories
সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সেরা ৫০টি ভূতের গল্প নিয়ে এই সংকলন। মুখবন্ধ লিখেছেন সিদ্ধার্থ ঘোষ।
Adrish Bardhan
Adrish-Bardhan
Debjyoti Bhattacharya
Debjyoti Bhattacharya
Rajesh Basu
Indranil Sanyal
Mahasweta Devi
Rupak Saha
Tilottama Majumder
তিলোত্তমা মজুমদার-এর জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে। ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন। কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। ‘একতারা’-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)।
Tilottama Majumder
Abhijnan Roychoudhary
Abhijnan Roychoudhary
Himanish Goswami
Leela Majumdar
Various
Shirshendu Mukhopadhyay
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-এর জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর। শৈশব কেটেছে নানা জায়গায়। পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম। শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গোড়ায় কুচবিহার। মিশনারি স্কুল ও বোর্ডিং-এর জীবন। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ। কলকাতার কলেজ থেকে বি এ। স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা। আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প- দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপোকা’। প্রথম কিশোর উপন্যাস— ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। কিশোর সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। ১৯৮৯ সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য।
Shirshendu Mukhopadhyay
Sunil Gangopadhyay
Manjil Sen
১৯২৬-এ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বের্তমান বাংলাদেশ) ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের হাসারায় জন্ম মঞ্জিল সেনের। শৈশবের রহস্য-রোমাঞ্চ গল্প প্রীতি তাঁর সৃষ্টিতেও প্রভাব ফেলেছিল। সব ধরনের গল্প-উপন্যাস লিখলেও জনপ্রিয় ছিলেন রহস্য, রোমাঞ্চ, ভৌতিক গল্প-লেখক হিসেবে। বক্সিং ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। অল বেঙ্গল ইন্টার কলেজ ভারোক্তেলন ও বক্সিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন “আনন্দমেলা” সহ ছোটোদের প্রায় সব পত্রিকাতেই তিনি লিখেছেন অসংখ্য গল্প, উপন্যাস। শুধু ছোটোদের পত্রপত্রিকা নয়, বড়োদের জন্যও লিখেছেন মঞ্জিল সেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০-এর বেশি। ১৯৯০-৯১-এ 'গোরাচাঁদ' গ্রন্থের জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও পেয়েছেন শিশু সাহিত্য পরিষদ প্রদত্ত “ভুবনেশ্বরী পদক" ও “টিক স্মৃতি পদক”, CBT আয়োজিত সারা ভারত বাংলা শিশু সাহিত্য প্রতিযোগিতার পুরস্কার, শৈব্যা প্রকাশনীর পুরস্কার। ২০১২-তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মঞ্জিল সেনকে সমগ্র সাহিত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করেছিল বিদ্যাসাগর পুরস্কার। ২০১৬-র ডিসেম্বরে তাঁর জীবনাবসান হয়।
Manjil-Sen
Dipanwita Roy
Sisir Biswas
Rebanta Goswami
রেবন্ত গোস্বামী। জন্ম ৩১ জুলাই, ১৯৩৬, বর্তমান বাংলাদেশের আমলাসদরপুর গ্রামে। বিজ্ঞানে স্নাতক। দীর্ঘকাল কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ সঞ্চার নিগমের উচ্চপদে চাকরি করে অবসরপ্রাপ্ত। মূলত ছোটদের লেখক। লেখালিখি শুরু করেন 'সন্দেশ' পত্রিকায়। কবিতা-ছড়া-প্রবন্ধ থেকে শুরু করে গল্প-উপন্যাসেও সমান স্বচ্ছন্দ। নানান রস ও স্বাদের অজস্র গল্প-কাহিনি লিখেছেন। 'সন্দেশ' ছাড়াও 'শুকতারা', 'কিশোর ভারতী' ও 'আনন্দমেলা' পত্রিকায় অনেক গল্প। উপন্যাস ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম উপন্যাস 'অরুমিতুদের কথা', 'সন্দেশ' পত্রিকায় বৈশাখ--অগ্রহায়ণ ১৩৭৬ (১৯৬৯) সংখ্যায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়। পুস্তকাকারে প্রকাশিত গ্রন্থ 'কচিপাতার রং', ১৩৮৩ (১৯৭৬)। এছাড়াও এযাবৎ প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বাবলা ফুলের গন্ধে, বৃশ্চিক গ্রাস এবং সাহেববাড়ির গুপ্তধন। 'অরুমিতুদের কথা' উপন্যাসটিকে বছরের সেরা শিশুসাহিত্যের স্বীকৃতি দিয়েছিল তৎকালীন শিশুসাহিত্য পরিষদ।
Rebanta-Goswami
Saikat Mukhopadhyay
Sanjib Chattopadhyay
১৯৩৬ সালে কলকাতার উপকণ্ঠে জন্ম। বিজ্ঞানের স্নাতক। বিজ্ঞান থেকে পরে কলাবিষয়ে সরে আসেন। শিক্ষকতা করেছেন। রাসায়নিক হিসাবে কিছুকাল কর্মরত ছিলেন একটি বড় রাসায়নিক সংস্থায়। পরবর্তীকালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে র উন্নয়নকল্পে যুক্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পোন্নয়ন বিভাগে। রামকৃষ্ণ মিশনের মুখপত্র ‘উদ্বোধনে’ স্বামী শ্ৰদ্ধানন্দের আশ্রয়ে সম্পাদনার হাতেখড়ি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারে শিল্প বিভাগে থাকাকালীন শিল্প-সাংবাদিকতার শুরু। শিল্প-মুখপত্রের সম্পাদনা। বেতার ও দূরদর্শনের মাধ্যমে শিল্পপ্রচার। ক্রমে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হবার সৌভাগ্য। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশ অধিক। সাহিত্যের প্রায় সর্ব বিভাগেই বিচরণ। ১৯৮১ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।
Sanjib- Chattopadhyay
Sasthipada Chattopadhyay
Satyajit Ray
বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রস্রষ্টা সত্যজিৎ রায়-এর জন্ম উত্তর কলকাতার গড়পার রোডে ২ মে ১৯২১ সালে। সুকুমার রায় ও সুপ্রভা রায়ের একমাত্র সন্তান। স্কুলের শিক্ষা বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সাম্মানিক স্নাতক (১৯৪০)। ওই বছরই শান্তিনিকেতন কলাভবনে ভর্তি হন। কিন্তু ’৪২-এ শিক্ষা অসমাপ্ত রেখে ফিরে আসেন। চাকুরিজীবনের শুরু (১৯৪৩) বিজ্ঞাপন সংস্থা ডি জে কিমার-এ। বিবাহ ১৯৪৯-এ। এই সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন বইয়ের প্রচ্ছদ ও চিত্রাঙ্কনের জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন। রচনা করেছেন বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য। ১৯৫৫-তে তাঁর ‘পথের পাঁচালী’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘পথের পাঁচালী’ পায় শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান। ‘অ্যাবস্ট্রাকশান’ নামে একটি ইংরেজি গল্প দিয়ে লেখার জগতে সত্যজিতের আত্মপ্রকাশ (১৯৪১)। ‘সন্দেশ’ পত্রিকার পুনঃপ্রকাশ (১৯৬১) উপলক্ষে বাংলা সাহিত্য রচনা শুরু। প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে প্রথম গল্প ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি’। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘প্রোফেসর শঙ্কু’ (১৯৬৫)। বইটি ১৯৬৭-তে শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্য গ্রন্থরূপে অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ (১৯৬৫) ফেলুদা সিরিজের সূচনা-গল্প। তাঁর অবিস্মরণীয় সৃজনশীলতার স্বীকৃতি স্বরূপ সত্যজিৎ বহু সম্মান ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভারতরত্ন ও লিজিয়ন অফ অনার (ফ্রান্স) সম্মান। পুরস্কারের মধ্যে আনন্দ, বিদ্যাসাগর, গোল্ডেন লায়ন (ভেনিস) এবং ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’-এর জন্য বিশেষ অস্কার। কল্পবিজ্ঞান কাহিনি, গোয়েন্দাকাহিনি, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, চিত্রনাট্য, সম্পাদিত, সংকলিত ও অনূদিত গ্রন্থ মিলিয়ে সত্যজিতের বইয়ের সংখ্যা ষাটের অধিক। মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৯২।
Satyajit Ray
Syed Mustafa Siraj
Suchitra Bhattacharya
সুচিত্রা ভট্টাচার্য-এর জন্ম ভাগলপুরে, ২৫ পৌষ ১৩৫৬ (১০ জানুয়ারি, ১৯৫০)। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে দক্ষিণ কলকাতায়। কলেজে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বিবাহিত জীবনের শুরু। আবার কলেজে পড়তে পড়তেই চাকরি জীবনে প্রবেশ। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করতেন। তবে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন সত্তর দশকের শেষভাগ থেকে। নারীদের একজন হয়ে তাদের নিজস্ব জগতের যন্ত্রণা, সমস্যা আর উপলব্ধির কথা লিখতে আগ্রহী তিনি। সুচিত্রার লেখাতে বারবারই ঘুরে-ফিরে আসে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের আত্মিক দিক, নানান জটি লতা। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর উপন্যাসগুলির মধ্যে ‘কাছের মানুষ’ বৃহত্তম রচনা। নানা পুরস্কারে ভূষিতা হয়েছেন। ‘দহন’ উপন্যাসের জন্য কর্নাটকের শাশ্বতী সংস্থা থেকে পেয়েছেন নন্জনাগুড়ু থিরুমালাম্বা জাতীয় পুরস্কার, ১৯৯৬। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমোহিনী পদক, শরৎ সাহিত্য পুরস্কার, দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার, শৈলজানন্দ পুরস্কার, তারাশঙ্কর পুরস্কার, কথা পুরস্কার, সাহিত্য সেতু পুরস্কার প্রভৃতি। প্রয়াণ: ১২ মে ২০১৫।
Suchitra Bhattacharya
Language: Bengali
Binding: Hardcover
Genre: Horror & Occult , Short Stories , Story
Publishers: Deep Prakashan
তিলোত্তমা মজুমদার-এর জন্ম ১১ জানুয়ারি ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে। ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন। কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। ‘বসুধারা’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। ‘একতারা’-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়-এর জন্ম : ২ নভেম্বর, ১৯৩৫। দেশ—ঢাকা জেলার বিক্রমপুর। শৈশব কেটেছে নানা জায়গায়। পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম। শৈশবের স্মৃতি ঘুরেফিরে নানা রচনায় উঁকি মেরেছে। পঞ্চাশ দশকের গোড়ায় কুচবিহার। মিশনারি স্কুল ও বোর্ডিং-এর জীবন। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই-এ। কলকাতার কলেজ থেকে বি এ। স্নাতকোত্তর পড়াশুনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু এখন বৃত্তি— সাংবাদিকতা। আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। প্রথম গল্প- দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস— ‘ঘুণপোকা’। প্রথম কিশোর উপন্যাস— ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। কিশোর সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। ১৯৮৯ সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন ‘মানবজমিন’ উপন্যাসের জন্য।
১৯২৬-এ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বের্তমান বাংলাদেশ) ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের হাসারায় জন্ম মঞ্জিল সেনের। শৈশবের রহস্য-রোমাঞ্চ গল্প প্রীতি তাঁর সৃষ্টিতেও প্রভাব ফেলেছিল। সব ধরনের গল্প-উপন্যাস লিখলেও জনপ্রিয় ছিলেন রহস্য, রোমাঞ্চ, ভৌতিক গল্প-লেখক হিসেবে। বক্সিং ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। অল বেঙ্গল ইন্টার কলেজ ভারোক্তেলন ও বক্সিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন “আনন্দমেলা” সহ ছোটোদের প্রায় সব পত্রিকাতেই তিনি লিখেছেন অসংখ্য গল্প, উপন্যাস। শুধু ছোটোদের পত্রপত্রিকা নয়, বড়োদের জন্যও লিখেছেন মঞ্জিল সেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০-এর বেশি। ১৯৯০-৯১-এ 'গোরাচাঁদ' গ্রন্থের জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও পেয়েছেন শিশু সাহিত্য পরিষদ প্রদত্ত “ভুবনেশ্বরী পদক" ও “টিক স্মৃতি পদক”, CBT আয়োজিত সারা ভারত বাংলা শিশু সাহিত্য প্রতিযোগিতার পুরস্কার, শৈব্যা প্রকাশনীর পুরস্কার। ২০১২-তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মঞ্জিল সেনকে সমগ্র সাহিত্য জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করেছিল বিদ্যাসাগর পুরস্কার। ২০১৬-র ডিসেম্বরে তাঁর জীবনাবসান হয়।
রেবন্ত গোস্বামী। জন্ম ৩১ জুলাই, ১৯৩৬, বর্তমান বাংলাদেশের আমলাসদরপুর গ্রামে। বিজ্ঞানে স্নাতক। দীর্ঘকাল কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ সঞ্চার নিগমের উচ্চপদে চাকরি করে অবসরপ্রাপ্ত। মূলত ছোটদের লেখক। লেখালিখি শুরু করেন 'সন্দেশ' পত্রিকায়। কবিতা-ছড়া-প্রবন্ধ থেকে শুরু করে গল্প-উপন্যাসেও সমান স্বচ্ছন্দ। নানান রস ও স্বাদের অজস্র গল্প-কাহিনি লিখেছেন। 'সন্দেশ' ছাড়াও 'শুকতারা', 'কিশোর ভারতী' ও 'আনন্দমেলা' পত্রিকায় অনেক গল্প। উপন্যাস ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম উপন্যাস 'অরুমিতুদের কথা', 'সন্দেশ' পত্রিকায় বৈশাখ--অগ্রহায়ণ ১৩৭৬ (১৯৬৯) সংখ্যায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়। পুস্তকাকারে প্রকাশিত গ্রন্থ 'কচিপাতার রং', ১৩৮৩ (১৯৭৬)। এছাড়াও এযাবৎ প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: বাবলা ফুলের গন্ধে, বৃশ্চিক গ্রাস এবং সাহেববাড়ির গুপ্তধন। 'অরুমিতুদের কথা' উপন্যাসটিকে বছরের সেরা শিশুসাহিত্যের স্বীকৃতি দিয়েছিল তৎকালীন শিশুসাহিত্য পরিষদ।
১৯৩৬ সালে কলকাতার উপকণ্ঠে জন্ম। বিজ্ঞানের স্নাতক। বিজ্ঞান থেকে পরে কলাবিষয়ে সরে আসেন। শিক্ষকতা করেছেন। রাসায়নিক হিসাবে কিছুকাল কর্মরত ছিলেন একটি বড় রাসায়নিক সংস্থায়। পরবর্তীকালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে র উন্নয়নকল্পে যুক্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পোন্নয়ন বিভাগে। রামকৃষ্ণ মিশনের মুখপত্র ‘উদ্বোধনে’ স্বামী শ্ৰদ্ধানন্দের আশ্রয়ে সম্পাদনার হাতেখড়ি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারে শিল্প বিভাগে থাকাকালীন শিল্প-সাংবাদিকতার শুরু। শিল্প-মুখপত্রের সম্পাদনা। বেতার ও দূরদর্শনের মাধ্যমে শিল্পপ্রচার। ক্রমে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হবার সৌভাগ্য। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশ অধিক। সাহিত্যের প্রায় সর্ব বিভাগেই বিচরণ। ১৯৮১ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার।
বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রস্রষ্টা সত্যজিৎ রায়-এর জন্ম উত্তর কলকাতার গড়পার রোডে ২ মে ১৯২১ সালে। সুকুমার রায় ও সুপ্রভা রায়ের একমাত্র সন্তান। স্কুলের শিক্ষা বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সাম্মানিক স্নাতক (১৯৪০)। ওই বছরই শান্তিনিকেতন কলাভবনে ভর্তি হন। কিন্তু ’৪২-এ শিক্ষা অসমাপ্ত রেখে ফিরে আসেন। চাকুরিজীবনের শুরু (১৯৪৩) বিজ্ঞাপন সংস্থা ডি জে কিমার-এ। বিবাহ ১৯৪৯-এ। এই সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন বইয়ের প্রচ্ছদ ও চিত্রাঙ্কনের জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন। রচনা করেছেন বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য। ১৯৫৫-তে তাঁর ‘পথের পাঁচালী’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘পথের পাঁচালী’ পায় শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান। ‘অ্যাবস্ট্রাকশান’ নামে একটি ইংরেজি গল্প দিয়ে লেখার জগতে সত্যজিতের আত্মপ্রকাশ (১৯৪১)। ‘সন্দেশ’ পত্রিকার পুনঃপ্রকাশ (১৯৬১) উপলক্ষে বাংলা সাহিত্য রচনা শুরু। প্রোফেসর শঙ্কুকে নিয়ে প্রথম গল্প ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি’। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘প্রোফেসর শঙ্কু’ (১৯৬৫)। বইটি ১৯৬৭-তে শ্রেষ্ঠ শিশুসাহিত্য গ্রন্থরূপে অকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ (১৯৬৫) ফেলুদা সিরিজের সূচনা-গল্প। তাঁর অবিস্মরণীয় সৃজনশীলতার স্বীকৃতি স্বরূপ সত্যজিৎ বহু সম্মান ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভারতরত্ন ও লিজিয়ন অফ অনার (ফ্রান্স) সম্মান। পুরস্কারের মধ্যে আনন্দ, বিদ্যাসাগর, গোল্ডেন লায়ন (ভেনিস) এবং ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’-এর জন্য বিশেষ অস্কার। কল্পবিজ্ঞান কাহিনি, গোয়েন্দাকাহিনি, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, চিত্রনাট্য, সম্পাদিত, সংকলিত ও অনূদিত গ্রন্থ মিলিয়ে সত্যজিতের বইয়ের সংখ্যা ষাটের অধিক। মৃত্যু ২৩ এপ্রিল ১৯৯২।
সুচিত্রা ভট্টাচার্য-এর জন্ম ভাগলপুরে, ২৫ পৌষ ১৩৫৬ (১০ জানুয়ারি, ১৯৫০)। স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে দক্ষিণ কলকাতায়। কলেজে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বিবাহিত জীবনের শুরু। আবার কলেজে পড়তে পড়তেই চাকরি জীবনে প্রবেশ। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করতেন। তবে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন সত্তর দশকের শেষভাগ থেকে। নারীদের একজন হয়ে তাদের নিজস্ব জগতের যন্ত্রণা, সমস্যা আর উপলব্ধির কথা লিখতে আগ্রহী তিনি। সুচিত্রার লেখাতে বারবারই ঘুরে-ফিরে আসে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের আত্মিক দিক, নানান জটি লতা। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর উপন্যাসগুলির মধ্যে ‘কাছের মানুষ’ বৃহত্তম রচনা। নানা পুরস্কারে ভূষিতা হয়েছেন। ‘দহন’ উপন্যাসের জন্য কর্নাটকের শাশ্বতী সংস্থা থেকে পেয়েছেন নন্জনাগুড়ু থিরুমালাম্বা জাতীয় পুরস্কার, ১৯৯৬। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমোহিনী পদক, শরৎ সাহিত্য পুরস্কার, দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার, শৈলজানন্দ পুরস্কার, তারাশঙ্কর পুরস্কার, কথা পুরস্কার, সাহিত্য সেতু পুরস্কার প্রভৃতি। প্রয়াণ: ১২ মে ২০১৫।