কৃষ্ণা বসু ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা, বাংলা ও ভারতের জনজীবনে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। জন্ম ২৬ ডিসেম্বর ১৯৩০, ঢাকায়। পিতা চারুচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন সুপণ্ডিত, মাতা ছায়াদেবীচৌধুরাণী। ডিসেম্বর ১৯৫৫ থেকে বিশিষ্ট স্বাধীনতা-সংগ্রামী ও প্রখ্যাত শিশু-চিকিৎসক শিশির কুমার বসুর সহধর্মিণী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর হওয়ার পর চল্লিশ বছর কলকাতার সিটি কলেজ (সাউথ)-এ অধ্যাপনা করেন,আট বছর কলেজের অধ্যক্ষাও ছিলেন পরবর্তী কালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তিনবার লোকসভায় নির্বাচিত হন। সাংসদ কৃষ্ণা বসু বাংলার রাজনীতিতে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়, ভারতের রাজনীতিতে সর্বজনশ্রদ্ধেয়। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র-বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ার পার্সন ছিলেন।
শিশির বসুর সঙ্গে বিবাহের কয়েক বছরের মধ্যেই কৃষ্ণা কলকাতার নেতাজি ভবনে প্রতিষ্ঠিত নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত হন। ২০০০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শিশির বসুর প্রয়াণের পর থেকে আমৃত্যু কৃষ্ণা বসু নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারপার্সন ছিলেন। আর ছিলেন কলকাতার শিশু হাসপাতাল ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এর প্রেসিডেন্ট, শিশির যে হাসপাতালের ডিরেক্টর ছিলেন। সুগত বসু ও সুমন্ত্র বসু তাঁর কৃতী পুত্র।
প্রয়াণ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, কলকাতায়।