বুদ্ধদেব গুহ পেশাগত দিক থেকে পূর্বভারতের একজন ব্যস্ত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অথচ একইসঙ্গে এই সময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের অন্যতম। দশ বছর বয়সে শিকার শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন একেবারেই করেন না, এবং শিকারী বলে পরিচি ত কখনও হতে চান না। তবে বন-জঙ্গল খুব ভালবাসেন এবং প্রায় বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান। কিছুকাল আগেই আফ্রিকার বনে-জঙ্গলে ঘুরে এসেছেন। বহু বিচিত্র ও ব্যাপ্ত অভিজ্ঞতাময় তাঁর জীবন। ইংল্যান্ড, ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশ, কানাডা, ইউএসএ, হাওয়াই, জাপান ও থাইল্যান্ড এবং পূর্ব আফ্রিকা তাঁর দেখা। পূর্বভারতের বন-জঙ্গল, পশুপাখি ও বনের মানুষদের সঙ্গেও তাঁর সুদীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরঙ্গ পরিচয়। সাহিত্য রচনায় মস্তিষ্কের তুলনায় হৃদয়ের ভূমিকা বড়ো— এই মতে বিশ্বাসী তিনি। ‘জঙ্গলমহল’—তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। তারপর বহু উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ। অতি অল্পকালের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত। তাঁর বিতর্কিত উপন্যাস ‘মাধুকরী’ দীর্ঘকাল ধরে অন্যতম বেস্টসেলার। ছোটদের জন্য প্রথম বই —‘ঋজুদার সঙ্গে জঙ্গলে ’। আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন, ১৯৭৭ সালে। প্রখ্যাতা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ঋতু গুহ তাঁর স্ত্রী। সুকণ্ঠ বুদ্ধদেব গুহ নিজেও একদা রবীন্দ্রসংগীত শিখতেন। পুরাতনী টপ্পা গানেও তিনি অতি পারঙ্গম। টিভি এবং চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে তাঁর একাধিক গল্প-উপন্যাস।